সপ্তাহের ব্যবধানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৩ হাজার মেগাওয়াট

তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ এর মাঝে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ৩ হাজার মেগাওয়াট ।

ডব্লিউ জি নিউজের সর্বশেষ খবর পেতে https://worldglobal24.com/latest/ অনুসরণ করুন

আজ (রোববার) বিদ্যুতের চাহিদা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে, যা গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি গরমে এই চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আরও পড়ুন বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

গত শনিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের বড় বাঁধা অর্থ। অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসের জন্য উৎপাদন করতে পারছে না। অনেকে আবার সামান্য কিছু উৎপাদন করছে।

আরও পড়ুন বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করল সরকার 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের তথ্যানুসারে দেখা যায়, গত ১৪ এপ্রিল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। ১৫ এপ্রিল চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটে, যার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট। এরপর ১৬ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়ায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে, যার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। ১৭ এপ্রিল চাহিদা কিছুটা কমে ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে, যার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৬ হাজার ৪১১ মেগাওয়াট। ১৮ এপ্রিলও চাহিদা ১৪ হাজার ৮১ মেগাওয়াটে বজায় থাকে। তবে শনিবার (২০ এপ্রিল) আবার বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। সেদিন চাহিদার ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৩৫৮ মেগাওয়াট, ফলে লোডশেডিং দিতে হয় ১৪২ মেগাওয়াট।

 

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You