ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র থেকে সতর্কতা হিসাবে ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সংকেত জারি করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, ১ নম্বর হচ্ছে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত, ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত, ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত, ৫, ৬ ও ৭ বিপদ সংকেত, ৮, ৯ ও ১০ মহাবিপদ সংকেত এবং ১১ ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ডতার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
ডব্লিউজির পাঠকের জন্য এসব সংকেতের ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করা হলো—
১ নং দূরবর্তী সংকেত : জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে।
২ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত : দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। সমুদ্রবন্দর এখনই ঝড়ের কবলে পড়বে না তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজের বিপদ হতে পারে পথে।
৩ নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত : বন্দর ও বন্দরে রোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগকবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার হতে পারে।
৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত : বন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত। বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।
৫ নং বিপদ সংকেত : বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে অতিক্রম করতে পারে।
৬ নং বিপদ সংকেত : বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে অতিক্রম করতে পারে।
৭ নং বিপদ সংকেত : বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরের উপর বা এর নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৮ নং মহাবিপদ সংকেত : বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৯ নং মহাবিপদ সংকেত : বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
১০ নং মহাবিপদ সংকেত : বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে।
১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত : আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।
ডব্লিউজি/এমএইচএস