উদ্বোধনী দিনে মেলা সেভাবে গুছিয়ে উঠতে না পারলেও দ্বিতীয় দিনে জমে উঠতে শুরু করেছে, অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি, বেড়ে পাঠক-দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে পাঠক-দর্শনার্থীরা। এদিকে উদ্বোধনী দিনের তুলনায় বিক্রিও অনেকটা বেড়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।
রাজ কিশোর বিশ্বাস থাকেন দেশের বাহিরে। মেলা উপলক্ষ্যে দেশে এসেছেন, মেলার দ্বিতীয় দিনে সহধর্মিণীসহ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। রাজ কিশোর বলেন, করোনার পর ভাষার মাসের শুরুতেই বই মেলা বেশ ভাল লাগছে। তাছাড়া মেলাও বেশ গোছানো মনে হচ্ছে। তবে হাঁটতে একটু কষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত মাটিতে তাকাতে হচ্ছে। রাজ কিশোর বিশ্বাস আরো বলেন, শরৎচন্দ্রের বই বেশ ভাল লাগে। তার অনেক বই পড়েছে। মেলা থেকে তাঁর আরো কিছু বই সংগ্রহের ইচ্ছে রয়েছে।
এদিকে এবারের বইমেলার বিন্যাসের প্রশংসা করেন নবান্ন প্রকাশনীর উপদেষ্টা ড. আমিনুর রহমান সুলতান। তিনি বলেন, দু’ধারে স্টল ও মাঝখানে প্যাভিলিয়ন অনেকটা নদীর মত লাগছে। দু’ধারে স্টলগুলো নদীর পাড়ের মত লাগছে। বইয়ের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ব সাহিত্য ভবনের প্রকাশক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কাগজের দাম বৃদ্ধি পেলেও বইয়ের মূল্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে। বই প্রেমী পাঠকদের সামান্য এ মূল্য বৃদ্ধি খুব একটা প্রভাব রাখবে না ; আশা রাখি এবারের বই মেলাতে ভালো বিক্রি হবে।
নন্দিতা প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, পূর্বের দিনের তুলনায় আজকে ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি মেলা জুড়ে এবার ভালো বিক্রি হবে। মেলার দ্বিতীয় দিনে ২১টি নতুন বই এসেছে। এরমধ্যে আত্মজীবনী ২টি, অনুবাদ ১টি, প্রবন্ধ ৩টি, বিশ্লেষণমূলক ২টি, গবেষণামূলক ১টি, উপন্যাস ১টি, স্মারকগ্রন্থ ২টি, সমাজবিজ্ঞান ১টি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ১টি, জীববিজ্ঞান ৩টি, নাটক ১টি, জীবনী ১টি, নাটক ১টি, কাব্যগ্রন্থ ২টি ও সাহিত্য সমালোচনা ১টি।
ডব্লিউজি/এআর/আরিফ