নরসিংদীর পলাশে প্রেমিকাকে (১৮) লোহার শিকল দিয়ে পিটালেন তার প্রেমিক জাহাঙ্গীর মৃধা (২০) নামে এক বখাটে।
রবিবার দুপুরে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগি কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের শরফত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর মৃধার সঙ্গে রং নাম্বারের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের।
এরপর ওই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তুলেন। এভাবে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগি ওই কিশোরীকে বিয়ে করার কথা বললে জাহাঙ্গীর তাতে রাজি হয় না। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে নানান ভাবে হুমকি দিতে থাকে।
রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগি ওই কিশোরী জাহাঙ্গীরের সিদ্ধান্ত জানতে তার বাড়িতে গেলে জাহাঙ্গীর লোহার শিকল দিয়ে পিটিয়ে ওই কিশোরীকে অচেতন করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে দেখতে পায় বলে জানান ।
প্রত্যক্ষদর্শী জিনারদী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া জানান, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের ও জিনারদী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের সীমান্ত এলাকার একটি নির্জন স্থানে অজ্ঞাত ও অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়।
পরে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি মেয়েটি অজ্ঞান পড়ে আছে। এরপর সাথে সাথে থানা পুলিশকে খবর দেই, এবং ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তার পরিচয় জেনে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পাশাপাশি মেয়ের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।