বরগুনায় শোক দিবসে স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ এর ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান।
তিনি বলেন, গতকাল শোক দিবসের ছাত্রলীগের গ্রুপের সংঘর্ষের সময়, পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে তদন্তের বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও তদন্ত কমিটির প্রধান এস এম তারেক রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল (১৫ আগস্ট) রাতে একটি শোকসভা অনুষ্ঠানে ‘পুলিশের উদ্দেশ্যই ছিল মারপিট করা’ বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য শম্ভু। এ সময় তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে প্রত্যাহার ও বিচারের করার দাবি জানান।
এর পরপরই জেলা ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা ছিলনা, কেউ সম্পৃক্ত থেকে থাকলেও সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। এসময় জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানায় তারা।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হয় ৬০ জন।
এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
ডব্লিউজি/এমএ