শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: ভাওয়াইয়া গানে বঙ্গবন্ধু

শোকাবহ আগষ্ট উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ়প্রত্যয়’ – শ্লোগানে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে নবম দিনের পরিবেশনায় ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি: ভাওয়াইয়া গানে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন কণ্ঠশিল্পী নাদিরা বেগম। আলোচনা শেষে বাঁশির করুণ সুরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। কবিতা পাঠ করেন কবি আসাদুল্লাহ। এরপর খাইরুল ওয়াসি গেয়ে শোনান ‘তুমি নাও ভাসাইলা মধুমতির কুলে’; স্বপ্না রায় ‘বাপোই শুনলে জুরায় পরান’; নাদিরা বেগমের ‘ছাড়ো রে মোর ভবের খেলা, পশ্চিমে ডুবিলো রে বেলা’; মনিকা মোস্তাফিজ মন এর ‘তোমরা অমপুর গেইলে কিনিয়া আনবেন ফুলতোলা শাড়ি’; আরিফ চৌধুরী পলাশের ‘ও প্রাণের মুজিব ভাই’; ফাহমিদা আলম রতœার ‘তোমরা গেইলে কি আসিবেন’; সুস্মিতা শিবলীর ‘তোর্ষা নদীর উথাল পাথাল কারবা চলে নাও’; সানজিদা লাভলী ‘হামার দ্যাশের মান শেখ মুজিবুর রহমান’; জাকির হোসেনের ‘ভাবের ছলে মজাইলেন মোক’; মারুফ হোসেনের ‘আইজো মোছে নাই’; রহিমা চৌধুরীর ‘আরে ও প্রাণের কালা কপাল ভাঙিলু কোনবা দোষে’; এরফান হোসেনের ‘ও মোর সোনার কন্যারে, ওরে তুই বিহনে কেমনে থাকিম মুই একেলা ঘরে’; শ্যামল কুমার পালের ‘নাই নাই নাইরে হামার বঙ্গবন্ধু নাই’; বকুল মহন্তর ‘বাংলার বন্ধু ছিলো মুজিব ভাই’ এবং মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘এই না বাংলাদেশের গান’ শিরোনামে একক সংগীত। এছাড়াও একক সংগীত পরিবেশন করেন ড. নাশিদ কামাল।

সৈয়দা ফৌজিয়া ইসলাম নওশীনের কণ্ঠে ‘সেই রেল লাইনের ধারে’ এবং আবিদার কণ্ঠে ‘আমার মন পাখিটা যায়রে উরে যায়’ শিরোনামে পরিবেশিত হয় দুটি একক শিশু সংগীত।

সংগীতের পাশাপাশি পরিবেশিত হয় কবিতা আবৃত্তি। কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ‘শোক গাথা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন আহসান উল্লাহ তমাল।

ডব্লিউজি/এমএ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *