নিজ হাতে টোল দিয়ে সেতুতে প্রধানমন্ত্রী

অপেক্ষার প্রহর শেষ। সপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর শুধু সপ্ন নয়, এখন তা বাস্তব। শনিবার বেলা ১২টায় উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহুল প্রতিক্ষীত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ হাতে টোল পরিশোধ করে পদ্মা সেতুতে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করেন তিনি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উদ্বোধন উপলক্ষে ১০০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শীট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরেই টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন। সেখান থেকে সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।

সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করবেন। দুপুর ১২টায় কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন।পরবর্তীতে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে জনসভা শেষ করে শরীয়তপুরের জাজিরার সার্ভিস এরিয়া-২ এর উদ্দেশ্যে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করবেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা অনুষ্ঠানস্থলে কাজ করছেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ হলেও সেতুর ওপর দিয়ে পরদিন (রোববার) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সেতুটি রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক অগ্রগতি আনবে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই সেতু দিয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

ডব্লিউজি/এএইচ

শেয়ার করুন:

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *