জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস

শেরপুর জেলার অন্যতম শতবছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো ছানার পায়েস যা অনেকের কাছে রসমালাই হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন থেকে জেলাবাসীর দাবি ছিল সুস্বাদু এই খাবার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল ছানার পায়েস।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

শেরপুরের তুলসীমালা ধানকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর জেলার আরেক ঐতিহ্যবাহী খাবার ছানার পায়েসকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করা হয়।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছানার পায়েসকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরপর নানা তথ্য সংগ্রহ এবং এই খাবারের বিশেষত্ব যাচাই করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ছানার পায়েসকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেরপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। যারা জিআইয়ের জন্য আবেদন করেন, তাদেরই দেয়া হয় মেধাস্বত্ব। চাইলেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। বেশ কিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।

সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/

আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি যে মৌলিকভাবে শুধু বাংলাদেশেই হয়, তার প্রমাণ দিতে হয়। ডিপিডিটির একটি কমিটি তা মূল্যায়ন করে ওই স্বীকৃতি দেয়। এরপর সংস্থাটির জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে জেলার অন্যতম শত বছরের ঐতিহ্যবাহী খাবার ছানার পায়েস বা রসমালাই জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসবে মেতেছে সাধারণ জনতা। স্বীকৃতি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভিতরে অনেককে দেখা গেছে মিষ্টি বিতরণ করতে।

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam