
আন্দোলনে সহিংসতায় প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং দেশের সব মহানগর এবং জেলায় জমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩ আগস্ট) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না, সে কারণে সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। গতকাল এবং আজকেও আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখন নতুনভাবে ৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, যদিও মৃত্যুর বেদনা, জন্মদিবসকে ছেপে চলে যায় শোকের কাছে। আমরা রোববার নতুন করে প্রোগ্রাম দিয়েছি।’
বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা ‘প্রত্যাখাত’ ও রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকার উৎখাতে নিয়ে যেতে উন্মুখ হয়ে থাকে। সরকার সকল উসকানি ও নৈরাজ্য ধৈর্য, সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’’
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনার ডাক দিয়েছেন, তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ফিরিয়ে এনেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে বিএনপি-জামায়াত অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা ‘প্রত্যাখাত’ ও রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকার উৎখাতে নিয়ে যেতে উন্মুখ হয়ে থাকে। সরকার সকল উসকানি ও নৈরাজ্য ধৈর্য, সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।”
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছিলেন।