
সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বিষধর সাপের উপদ্রব। সাপের কামড়ে দু দিনের ব্যবধানে প্রাণ হারিয়েছেন শিশুসহ দুজন। এর মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘রাসেলস ভাইপার’ নামে বিষধর সাপ। চারিদিকে যখন সাপ আতঙ্ক তখনও পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন নেই চুয়াডাঙ্গায়।
জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলাতেই নেই অ্যান্টিভেনম। আর একটিতে আছে মাত্র দু’জনের জন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম না থাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে।
গতকাল দেশের সকল সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল। এসময় তিনি দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখার এবং কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের মজুদ খালি না রাখারও নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর এই নির্দেশনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুদ আছে মাত্র দুজনের অ্যান্টিভেনম।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সাফাউল্লাহ নেওয়াজ জানান, বেশ কিছুদিন থেকে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা দিয়ে আসলেও আজ পর্যন্ত কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, অ্যান্টিভেনমের দাম অনেক, তাই নিয়ে আসা হয় না। দাম বেশি বলে এগুলো ব্যবহার না হয়ে মেয়াদ শেষ হলে জবাবদিহি করতে হয়। তাই আগে থেকে এনে রাখা হয়নি। আমাদের এখানে সাপে কাটা কোন রোগী এখনো পর্যন্ত আসেনি। রোগী আসলে আমরা অ্যান্টিভেনমের ব্যবস্থা করবো।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’জন সাপে কাটা রোগীর অ্যান্টিভেনম মজুদ আছে। আরও চাহিদা দেওয়া আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে চাহিদা মত অ্যান্টিভেনম এসে যাবে।