নৌঘাট ইজারা সিন্ডিকেট; চিলমারীতে ঈদের ৬দিন পর ফেরি সার্ভিস চালু

দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার বিকেল থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। এর আগে রৌমারী উপজেলার কুটিরচর সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি মেরামত হওয়ায় ঈদের আগেই ফেরি সার্ভিস চালুর কথা বলেছিলো বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এদিকে ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদের পর ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা নৌপথ যাত্রীরা ফেরি সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হওয়ার পেছনে নৌঘাট ইজারা সিন্ডিকেটকে দায়ি করছেন সচেতন মহল।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নিবার্হী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, নৌ বন্দরে ফেরি সার্ভিস যুক্ত হওয়ার পর থেকে নদী পারাপারে পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো। বিশেষ করে পণ্যবাহী পরিবহন। কিন্তু ছোট একটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকবে কেন। চালু করা হলো তাও আবার ঈদের ৬দিন পর। কালভার্টের পাশে ঘেষে বাইপাস সড়ক করা যেত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। ঈদের আগে ফেরি সার্ভিস চালু না করার পেছনে তিনি একটি সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন।
এদিকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার সুযোগে নৌঘাটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠলেও প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আর্থিক সুবিধা নিয়েই চিলমারী বন্দরে ফেরি সার্ভিসে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তারা পরিবহন সংকট ও নাব্যতা সংকট দেখিয়ে বন্ধ রেখেছিল ফেরি। আর এ সুযোগেই ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সুযোগ নেয় ঘাট ইজারা কর্তৃপক্ষ।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, পারাপারের জন্য গাড়ি ঘাটে না আসায় ঈদের আগে ফেরি সার্ভিস চালু করা যায়নি। ঘাটে ৭টি পরিবহন পারাপারের জন্য আসায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ফেরি কদম রৌমারী ঘাট থেকে চিলমারী নদী বন্দরে আসে। বুধবার ১০টায় ফেরিটি ১০টি পরিবহন নিয়ে রৌমারী ছেড়ে যায়। পারাপারের জন্য গাড়ী আসলে ফেরি সার্ভিস নিয়মিত চালু থাকবে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি যানবাহন চলাচলের সময় রৌমারীর কুটিরচর এলাকায় পুরোনো একটি বক্স কালভার্ট ভেঙ্গে গেলে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

Recommended For You