
চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নে নলান্ধা গ্রামে অবস্থিত নলান্ধা কাশেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির বিরুদ্ধে একই গ্রামের মরহুম আতাউল হাকিমের পুত্র মোঃ সেলিম উল্লাহ চৌধুরী গং এর জায়গা দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এই ব্যাপারে পৃথক দুইটি অভিযোগ দাখিল করেন মোঃ বজল আহমদ চৌধুরী ও মোঃ সেলিম উল্লাহ চৌধুরী।
দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়ার নলান্ধা মৌজার আর এস দাগ-২৭৫/২৭৬/২৭৭/৪১০ দাগাদির সামিল বিএস দাগ-১৪০/১৪৭/১৪৮/১৫০ দাগের জায়গাটি তাদের পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত মৌরশী দখলীয় জায়গা এবং তাদের পূর্বপুরুষ হইতে এই পর্যন্ত তারা বংশানুক্রমে কোন বাধাবিপত্তি ছাড়াই ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। এবং দেশ স্বাধীনের আগে বিএস দাগ,আরএস দাগ এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জরিপে ঠিক একইভাবে বংশানুক্রমে তাদের নামে জরিপ হয়ে খতিয়ান ভুক্ত হয়ে এসেছে।
গত ২০২১ সালে নলান্ধা কাশেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকার থেকে নতুন ভবন বরাদ্দ হলে, ভবনের কাজ শুরু হওয়ার আগ মূহুর্তে বিদ্যালয়ের প্রধান ও কমিটির সভাপতি সদস্যরা সহ আমাদের থেকে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের নির্মাণসামগ্রী ইট লোহার রডও আনুশাঙ্গিক জিনিষ রাখতে একটি অস্হায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করবে বলে উনাদের কাছে জায়গাটি দেওয়ার অনুরোধ করলে উনারা এলাকার উন্নয়ন কোমলমি শিশুদের পড়ালেখা ও জনস্বার্থে কিছু দিনের জন্য অস্হায়ী ভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখতেই জায়গাটি বিদ্যালয়কে ব্যবহারে অনুমতি দেন।
গত ২০২২ সালে স্কুলের বিল্ডিং এর কাজ সম্পূর্ণ করে বর্তমানে নতুন ভবনে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ শুরু করেছে কিন্তু তাদের জায়গায় অস্হায়ী টিনের ঘরটি ভেঙে নেওয়ার পরিবর্তে উল্টা প্রধান শিক্ষকও কমিটি তাদের থেকে চেয়ে নেয়ার জায়গাটিসহ স্কুলের অন্তর্ভূত করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে পায়তারা শুরু করে একপর্যায়ে কাজও শুরু করে দিয়েছেন স্কুুল কর্তৃপক্ষ।এব্যাপারে আবেদনকারীগন মোঃ সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন আমরা নতুন বিল্ডিং এর কাজ শেষ হওয়া মাত্রই আমরা স্কুুলের প্রধান শিক্ষকও কমিটি কে একাধিকবার বলার পরও উনারা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো জায়গাটি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে বিধায় আমরা এব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করতে বাধ্য হলাম।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব আবদুল মজিত সাহেবের সাথে মোটফোনে কথা হলে উনি জানান- এই ব্যাপারটি আমি আবেদন পাওয়ার পরপরই স্বশরীরে আমি আর ঐবিদ্যালয় যে ক্লাস্টারে অবস্হিত লাখেরা ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ জায়গাটি পরিদর্শন ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি।এখানে আবেদনকারী দুইজন একজন বজল আহমদ সওদাগর এবং মোঃ সেলিম উল্লাহ চৌধুরী।আবার আবেদনকরী বজল আহমদ সওদাগর আবেদন ছাড়া আদালতে মামলাও করেছেন তাই উক্ত আবেদন করীর ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করবোনা যেহেতু এটা আদালতের বিচারাধীন বিষয়।আরেকজন সেলিম উল্লাহ চৌধুরী- মূল হচ্ছে প্রথমে -উনারা যে এখানে জায়গা পাচ্ছেন এটা আগে দলিল পত্র দিয়ে প্রমান করেই আসতে হবে,কেননা বিদ্যালয়টি স্হাপিত হওয়ার সময় উনাদের পূর্বপুরুষগণ ২৪শতক জায়গা বিদ্যালয় কে দানপত্র করে দিয়েছেন এই ২৪ শতকের মধ্যে যদি উনারা কোনভাবে জায়গা পেয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে উনার সরকারি নিয়ম মোতাবেক নিজখরচে রেজিস্টারি দিয়ে স্কুলের আজীবন দাতা সদস্য হতে পাারেন।কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জায়গা আমার মতে ফিরে পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ হেলাল এর সাথে মোটফোনে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন-আমি সরকারি চাকুরী করি আমাকে যতোদিন সরকারী ভাবে এখানে থাকতে বলেন ততোদিন আছি। কালকে বদলি করে দিলে চলে যাবো।তাহলে আমি কেন কারো জায়গা দখল আত্নসাৎ করতে যাবো?আমি পনের বছর আগে এই বিদ্যালয়ের বদলী হয়ে আসার পর থেকেই যে জায়গার সীমানা বিদ্যালয়ের ছিল বর্তমানও তাই আছে।তাছাড়া শুনেছি এটার ব্যাপারে একপক্ষ আদালতে মামলাও করেছেন। তাই বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা সময়োচিত হবেনা।