
আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান মোবাইল ফোন নিযে় এবং সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল অহসান নান্নু নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দুই পক্ষই শতভাগ বিজয়ের আশা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
আমতলী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বর্তমান মেয়র ও সাবেক মেয়র এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। অন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা এখন পর্যন্ত কার্যত দেখা যায়নি। সড়কে সড়কে দড়িতে ঝুলছে প্রার্থীর ছবি, প্রতীকসহ সাদা কালো পোস্টার। সড়ক সংলগ্ন পিলার ও গাছে শোভা পাচ্ছে পোস্টার। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পাড়া, মহল্লা ও রাস্তায় মাইকিংয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে ভোটের আমেজ। দুই মেয়র প্রার্থীর মতিউর রহমান মোবাইল ফোন ও নাজমুল অহসান নান্নু হ্যাঙ্গার প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা।
বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান ১৩ বছরের রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ স্থাপনসহ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরেন। তিনি উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মোবাইল ফোন মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য অনুরোধ করেন। সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল আহসান নান্নু বলেন, তিনি বিগত ১৩ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন করেননি, জনগণের টাকা দিযে় তিনি বিলাসবহুল বাডি় বানিযে়ছেন। জনগণ এতদিন মুখ খুলতে পারেনি এবং তাদের পছন্দের প্রার্থী পাইনি। দলীয় আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিযে়ছেন ভোটাররা তাদের ভোট অধিকার ফিরে পেযে়ছেন। এবং আমার জনপ্রিয়তা দেখে বর্তমান মেয়র পৌরসভার ওয়ার্ড টাকার বিনিময় ভোট কিনে নেওয়ার অভিযোগ করেন সাবেক মেয়র। তবে দুই প্রার্থী একই দলের হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভোটার সমর্থকরাও বিভ্রান্তিতে পড়েছে।
ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দুই পক্ষই নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দুপক্ষের নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই মেযে়র প্রার্থীদের সমর্থকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায় মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এতে করে থামছেন না দুই মেয়র সমর্থকদের হাতাহাতি। পাল্টাপাল্টি অভিযোগও রয়েছে দুই মেয়র সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় ভোটাররা। বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা আব্দুল হাই আল হাদী বলেন, যে কোনো সংঘাত বা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থাকছে এবং অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ০৯ জন, কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন, ও মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন। আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে আমতলী পৌরসভা নির্বাচন।