
অগ্নিদুর্যোগের ক্ষেত্রে যদিও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে নগর-মহানগরের বহুতল ভবন। অধিকাংশ পর্যবেক্ষণ অনুসারে বৈদ্যুতিক সংযোগে শর্ট সার্কিট থেকে লাগে আগুন। আবার অনেক বাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কিংবা গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকেও ছড়াতে পারে আগুন।
অগ্নিদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দমকল বাহিনীকে জানানো অবশ্যকর্তব্য। কিন্তু দমকল বাহিনী এসে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রাথমিক কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে যা যা করা জরুরি তা জেনে নিলে অনেক সময় আতঙ্ক চাপা দিয়ে জীবন ও সম্পদহানি এড়ানো সম্ভব।
অ্যাডজাস্ট ফ্যান চালু রাখুন
রান্না করার সময় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। অনেকের বাড়িতে অ্যাডজাস্ট ফ্যান নেই। সেক্ষেত্রে ভেতরে একটা ফাস্ট ফ্যান রাখুন। রান্নার আগে চালিয়ে দেবেন। রান্না করার সময় অ্যাডজাস্ট ফ্যান চালান। কয়েকদিন বাড়ির বাইরে থাকলে প্রথমে রান্নাঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল নিশ্চিত করে রান্না করুন।
রান্নার কাউন্টারটপ পরিষ্কার রাখুন
রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি। এই প্রয়োজন কাউন্টারটপের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন। চুলোর আশপাশে ন্যাকড়াজাতীয় কিছু রাখবেন না? ন্যাকড়া প্রয়োজন হলে ব্যবহার করুন। চুলোর কাছে রাখা ঠিক না। প্রতি সপ্তাহে স্টোভ পরিষ্কার করুন। এখন স্টোভে জমে থাকা গ্রিজ তোলার ক্লিনার পাওয়া যায়। একটু শ্রম দিয়ে তা সাফ করুন। চুলোর আশপাশে কাগজ, খোসা এগুলো রাখলে গ্রিজ জমে অনেক সময় স্টোভে লেগে যায়। এই গ্রিজের আড়াল লিকেজ হলে পরবর্তীতে বিস্ফোরণ হতে পারে।
রান্নায় সব মনোযোগ
রান্না করার সময় বাইরের কোনো কাজ করবেন না। রান্নার সব প্রস্তুতি সঙ্গে রাখুন। এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে যেখানে রান্নাঘরে রান্না চাপিয়ে বাইরে তেল-মশলা কিনতে গেছেন অনেকে। আর সেই মুহূর্তেই লেগেছে আগুন। এমনটি যেন না হয় তাই রান্নার সময় পুরো মনোযোগ রান্নায় এটে রাখুন।
ক্লান্তিতে রান্না নয়
সাবধানের মার নেই। তবে ক্লান্তি বা ঘুমকাতুরে ভাব নিয়ে রান্না করবেন না। যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। তখন আলসে ভর করলে অবস্থার গুরুত্ব যাচাই করা কঠিন হয়ে যাবে। সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে রান্না করুন। রান্নাঘর সাফসুতরো রাখুন। ফ্লোরে পানি জমতে দেবেন না। যেকোনো পরিস্থিতিতে দূরে যাওয়ার সুযোগ রাখবেন।