কারাগার থেকেই ভোট দিলেন ইমরান খান, পারলেন না বুশরা

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিরা আদিয়ালা জেল থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী ভোট দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

দ্য ডন বলছে, সামগ্রিকভাবে আদিয়ালা কারাগারের ১০০ জনেরও কম বন্দি ভোট দিতে সক্ষম হয়েছেন। যা এই কারাগারের ৭ হাজার বন্দির মধ্যে মাত্র এক শতাংশ। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের যারা ডাকযোগে ভোট দিতে পেরেছেন তাদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রশিদ এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও রয়েছেন।

আদিয়ালা জেল প্রশাসন জানিয়েছে,  শুধু সেই কয়েদিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে যাদের বৈধ কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) রয়েছে। বন্দিদের অধিকাংশের আসল সিএনআইসি না থাকায় পোস্টাল ব্যালটে করে ভোট দেওয়ার সংখ্যাও কম হয়েছে।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,  গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পোস্টাল ব্যালট পায় এবং পরে তা বন্দিদের কাছে সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ব্যালট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ জানুয়ারি। পরে জেল সুপার আসাদ জাভেদ ওয়ারাইচ সিল করা খামে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার জেলা রিটার্নিং অফিসারদের (ডিআরও) কাছে ভোট দেওয়া ব্যালট পাঠানোর সময় আরও বাড়িয়ে দেন।

কারাগার সূত্র জানায়, ইমরান খানের স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবিও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে আটক করার সময় এভাবে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার কারণে তার অনুরোধ গ্রহণ করা যায়নি।

বুশরা বিবির মুখপাত্র মাশাল ইউসুফজাই জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

দেশটিতে ১৮ বছরের বেশি নাগরিক অর্থাৎ ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। চলতি বছর জাতীয় পরিষদে মোট পাঁচ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি আসনে গড়ে ১৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা চার হাজার ৮০৬ জন পুরুষ প্রার্থী, আর নারী প্রার্থী ৩১২ জন। এই তালিকায় দুই ট্রান্সজেন্ডারও রয়েছেন।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৩৩৬টি, এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আর সংরক্ষিত রয়েছে ৭০টি আসন। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের জন্য এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য।

 

Recommended For You