
আজ ১৩ নভেম্বর, বিশ্ব দয়া বা সহানুভূতি দিবস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দয়া, সহানুভূতি কিংবা সহমর্মিতার মত বিষয়গুলো নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। কারণ বিশেষজ্ঞরা এটা বিশ্লেষণ করে দেখছেন এবং তাদের মতে এটি মানুষের জীবন-মৃত্যুর মতো জরুরি।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর উন্নয়নের পাশাপাশি শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যখন আত্মশক্তির হাতিয়ার হিসেবে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন ও আবিষ্কারে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ১৯৯৭ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। আমন্ত্রণ করা হয় সারা বিশ্বের জননেতাদের। তাদের নিজ নিজ দেশের শান্তির গল্প বলার জন্য। সেই সম্মেলনেই সিদ্ধান্ত হয় ১৯৯৮ সালে পালন করা হবে আরেকটি সম্মেলন। গঠন করা হয় ‘বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনই পালন করে প্রথম বিশ্ব সহানুভূতি দিবস। সেই দিবস পালন করা হয় বিশ্বের ২৮টি দেশে।
২০১০ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখেই বিশ্ব সহানুভূতি দিবসকে নতুন মাত্রা দেয় বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন, যুক্তরাজ্য। সেই থেকে প্রতি বছরের ১৩ নভেম্বর সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে দেশে সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে পালন করা হয় বিশ্ব সহানুভূতি দিবস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ একটু ভালো ব্যবহার পেলে, একটু উৎসাহ পেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারে, অনেক বড় বাঁধা অতিক্রম করতে পারে। সহানুভূতির ফলে সহজেই মানুষ জয় করতে পারে মানুষের মন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বেদারি কাইন্ডনেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড্যানিয়েল মি. ফেসলারের গবেষণার বিষয় হলো, কীভাবে দয়া ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মানুষকে আরও দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করা যায়। তার মতে, দয়ামায়ার বিষয়টি মূলত একটি ভাবনা, একটি অনুভূতি এবং একটি বিশ্বাস, যা মূলত অপরের ভালোর সঙ্গে সম্পর্কিত। আর নির্দয় হওয়া মানে অসহিষ্ণু মতবাদ, অপরের ভালো সম্পর্কে উদাসীন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে দয়ালু বা সহানুভূতিশীল বেশি হলে মানুষের আয়ু বাড়ে!