আজ মহানবমী, ১০৮ নীলপদ্মে পূজা হবে দেবীদুর্গার

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী আজ (সোমবার)। সন্ধিপূজার মাধ্যমে শুরু হয় নবমীর আনুষ্ঠানিকতা। অসুর বধ এবং বিজয়ের মাধ্যমে এর একদিন পরই মহাদশমী; বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বিদায় নেবেন মা দুর্গা।

দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শাস্ত্রমতে অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবীকে চামুণ্ডারূপে পূজা করা হয়েছে।

নবরাত্রির শেষ দিনে অর্থাৎ নবম দিনে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পূজা করার রীতি রয়েছে। নবমীর সন্ধ্যা আরতির পর বিষাদের সুর বাজে সর্বত্র। শারদীয় দুর্গোৎসবের ৪র্থ দিন আজ মহানবমী। চন্দ্রের নবমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করবেন মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা।

এদিন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি দেবীর চরণে অঞ্জলি দেবেন ভক্তরা। নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে, যা ঐশ্বরিক। তিনি পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন এবং অজ্ঞতা দূর করেন। মূলত আজই পূজার শেষ দিন। কাল (মঙ্গলবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে শারদীয় এ দুর্গোৎসব।

আজ ভক্তদের দেয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবী দুর্গার। নবমী বিহিত পূজা হচ্ছে নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে।

দেবী দুর্গার কাছে নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেয়া হয় আহুতি। শাস্ত্রমতে ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুল সম্পদ লাভ করে।

পৌরাণিক কাহিনিতে মহানবমী
শাস্ত্র মতে মহিষাসুরকে বধ করার জন্য দেবী পার্বতী দুর্গার রূপ ধারণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। মহিষাসুর ছিল এক ভয়ংকর অত্যাচারী ও শক্তিশালী অসুর, যার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমস্ত দেবতার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল।

অসুর রাজ ও দৈত্যসেনাদের বিশ্বাস হয়ে যায় যে, তারা এতটাই ক্ষমতাশালী যে স্বর্গরাজ্য জয় করে মর্ত্যবাসীদের ওপর রাজ করতে সক্ষম। স্বর্গরাজ্যে হানা দিলে সব দেবতা মহাদিদেবের কাছে ছুটে যান এবং এ সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে প্রার্থনা করেন।

সে সময় মহাদেব জানিয়েছিলেন, অসুরকুলকে বিনাশ করতে পারবেন একমাত্র মহিষমর্দিনী। তাই আদিশক্তি দুর্গার রূপ ধারণ করে মহিষাসুরের সঙ্গে টানা ৮ দিন যুদ্ধ করে নবম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই থেকে শুরু হয় দুর্গাপূজা।

Recommended For You