রোহিঙ্গাদের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় যুবক ও নারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতর কোনভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। তারা লোকালয়ে বের হয়ে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানগুলো দখলে নিয়ে নিচ্ছে। ফলে বেকার হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় নারী ও যুবকরা।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এসব বেকার যুবক ও নারীরা যাতে দেশেবিদেশে চাকরি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী হতে পারে সেজন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ প্রাথমিকভাবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২৪ হাজার নারী ও যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ নারী ও ৩ শতাংশ প্রতিবন্ধী অংশগ্রহণ করবে।

মঙ্গলবার সকালে শহরের তারকামানের হোটেলে “কক্সবাজারের নারী ও যুবদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির” প্রকল্প উদ্বোধন কালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বেকারত্ব নিরসনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

নেদারল্যান্ডস ও কানাডা সরকারের অর্থায়নে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলবে ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ব্র্যাক, ইউএনডিপি ও এফএও।

সারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বর্তমানে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবয়ন হচ্ছে। যেখানে কাজ করার জন্য দক্ষ জনশক্তি নেই কক্সবাজারে। যার কারণে দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে এবং দেশের বাইরের থেকে লোকবল এনে কাজ করাতে হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্হানীয়রা এসব প্রকল্পে সংযুক্ত হবে। বলেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা

এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড মহিউদ্দিন আহমেদ, ডিওআইডির মহাপরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো শাহীন ইমরান , কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বর্তমানে কক্সবাজারে ৩৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। এই প্রকল্প স্হানীয় জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করবে। যেখানে ৪০ শতাংশ ঝরে পড়া নারী এবং ৩ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। প্রকল্পের মেয়াদি ধরা হয়েছে ২ বছর।

Recommended For You