
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনা পাচারের সময় ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬টি সোনার বারসহ রাজ্জাক আলী (৪৯) নামে এক পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি।
আটককৃত সোনা পাচারকারি রাজ্জাক উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন মুন্সিপুর গ্রামের মো. হোসেন আলীর ছেলে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চোরাচালান বিরোধী এক অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি সদস্যরা এই স্নো ও পাচারকারিতে আটক করেন।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অতিরিক্ত পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোঃ রকিবুল ইসলাম (পিএসসি) বরিবার বেলা পোৗনে ৪টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপনসূত্রে জানতে পারি বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোঃ রকিবুল ইসলাম, পিএসসি এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলী এবং মুন্সিপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মোঃ মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৯৩/৭-আর হতে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জাহাজপোতা গ্রামের সাইনবোর্ডতলা নামক স্থানের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় এ্যাম্বুশ করে। এ্যাম্বুশ কালিন রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটর সাইকেলযোগে উক্ত এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেলটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি সশস্ত্র টহল দল চোরাকারবারীর পিছনে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত চোরাকারবারি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী মুন্সিপুর গ্রামের মোঃ হোসেন আলী ছেলে রাজ্জাক আলী। বিজিবি টহল দল চোরাকারবারীর পায়ে পরিহিত চামড়ার জুতার সোলের মধ্যে থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার (৭০০ গ্রাম), একটি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।