‘আমি ফরিদপুরের মেয়ে শুনেই সমরেশদা গল্প জুড়ে দেন’

দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর সোমবার মারা যান ‘কালপুরুষ’, ‘কালবেলা’সহ একাধিক কালজয়ী উপন্যাসের লেখক প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোকের বিষণ্ণতা এপারেও নেমেছে।

তার লেখা ‘কালবেলা’ অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছিলেন গৌতম ঘোষ। এই সিনেমার গল্পের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘মাধবীলতা’র ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। লেখকের প্রয়াণের খবরে বিষাদ নেমেছে এই অভিনেত্রীর মাঝেও।

কলকাতার একটি গণমাধ্যমে জানালেন সেই বিষাদ ও তার সঙ্গে সখ্যতার গল্প। বললেন,‘‘গৌতমদার নেতৃত্বে ‘কালবেলা’ করার সময়েই সমরেশদার সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়। ২০০৭-এ আমরা শুটিং শুরু করি। তার আগে মাঝেমাঝেই সমরেশদার সঙ্গে আড্ডা হতো। সমরেশদা দারুণ আড্ডাবাজ ছিলেন। সিনেমা, সাহিত্য থেকে খাওয়াদাওয়া— সবেতেই সমান আগ্রহ। সব সময় মজার মজার গল্প বলতেন আর খুব হাসাতে পারতেন।’’

পাওলি জানান, বাংলাদেশের প্রতি সমরেশ মজুমদারের অসামান্য ভালোবাসা ছিল। তার ভাষ্য: ‘ওপার বাংলার প্রতি খুব টান ছিল। আমি ফরিদপুরের মেয়ে শুনেই গল্প জুড়ে দেন তনি। কত গল্প করেছিলেন। ওপারের রান্নাবান্না, মানুষজন— সবই ঢুকে পড়ত গল্পে, আড্ডায়।

‘কালবেলা’ সিনেমার স্মৃতি ঘেঁটে পাওলি দাম বললেন, ‘‘মাধবীলতা’ আমার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলা চলে।এর আগে এত বলশালী চরিত্রে কাজ করার দায়িত্ব সেভাবে আসেনি।মাধবীলতা তো ভালোবাসার প্রতীক।বাঙালির চোখে সেই চরিত্রের আলাদা জায়গা রয়েছে।মাধবীলতা হয়ে ওঠার জন্য তাই আমিও নানা রকম ভাবে চেষ্টা করেছি।শেষে যখন ছবিটি তৈরি হল, সমরেশদা সেটি দেখে আমাকে খুব বড় সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন।তিনি বলেছিলেন, ‘আমার লেখার মাধবীলতা আর পর্দায় তোমার চরিত্রের মধ্যে কোনও পার্থক্য পাইনি।তুমি এটা কী করে করলে!’ স্বয়ং লেখকের কাছ থেকে এ কথা শুনতে পাওয়া সত্যিই খুব বড় প্রাপ্তি।’

পাওলি দাম ছাড়াও টলিউডের অনেক তারকা সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি থেকে শুরু করে শ্রীলেখা মিত্র, সৃজিত মুখার্জিসহ অনেকেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন।

ডব্লিউজি/এমএইচএস

Recommended For You