
সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হলো প্রতি দিন সাত থেকে আট ঘণ্টার টানা ঘুম। কিন্তু, রাতে ঘুমানোর সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক আছে। আপনি যে ভঙ্গিতে ঘুমাচ্ছেন, তার সঙ্গে স্বাস্থ্যর সম্পর্ক তো আছেই, রয়েছে ত্বকের সুস্থতার সম্পর্কও। কম বয়সেই ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ত্বকে অত্যধিক ব্রণ হওয়া এই সব সমস্যা বাড়বে ঠিক ভঙ্গিতে না ঘুমালে।
তবে, ঘুমানোর ভঙ্গি ঠিক না হলে ত্বকের গ্রন্থিগুলি ঠিক মতো অক্সিজ়েন পায় না। তাই নানা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি, কম বয়সে ত্বকে বয়সের ছাপও পড়ে যেতে পারে। যে ভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটা ঠিক কি না, জেনে নিন।
বালিশ জড়িয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস
পাশ ফিরে বালিশ জড়িয়ে শুতে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত। কিন্তু, এর ফলে ত্বকে দাগ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। বালিশে অনেক সময় ব্যাক্টিরিয়া থাকে, তাই একটি পরিষ্কার বালিশের কভার পরিয়ে শুতে পারেন। না হলে রাতে কোনও ক্রিম মেখে শুলে সেটাও লেগে যেতে পারে বালিশে।
পেটে চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে শোওয়া
অনেকেই এই ভাবে শুতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভঙ্গি মোটেই ভাল নয়। বালিশে মুখ গুঁজে শোয়ার ফলে মুখের ত্বকেও অক্সিজেন একেবারেই পৌঁছায় না। রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকে না এই ভঙ্গিতে। চোখের তলায় ফোলা ভাব, ত্বকের গ্রন্থিগুলি বুজে যাওয়া সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে এই ভঙ্গিতে ঘুমালে।
পাশ ফিরে শোয়া
ত্বক ভাল রাখতে এই ভঙ্গিতেও শুতে পারেন। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকে কোনও ক্রিম মাখলে সেটা বালিশে লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এক পাশে খুব চাপ দিয়ে শুলে মুখের এক পাশে বলিরেখা ও ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চিৎ হয়ে শোয়া
এটাই ঘুমোনোর সবচেয়ে ভাল ভঙ্গি। পিঠ দিয়ে শোয়ার ফলে ত্বকের সব গ্রন্থি ভাল মতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে ঘুমোলে ত্বকে দাগছোপ পড়ে না। বালিশের তেল বা অন্যান্য ময়লাও ত্বকে লাগে না। ত্বকে চুলকানির ঝুঁকিও কম হয়।
ডব্লিউজি/এমআর