নিম তেল ব্যবহারে উপকারিতা

শীতকাল এলেই চুলের সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকেই এসময় মাথায় তেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। কোন তেল ব্যবহারে কেমন ফলাফল আসবে তা বলা দুঃসাধ্য। এক্ষেত্রে নিম তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিমের বীজ থেকে নির্যাস বের করে বানানো হয় নিমের তেল।

নিমের তেল কসমেটিকস এবং অন্যান্য সৌন্দর্য প্রসাধনীতেও ব্যবহার করা হয়। সাবান, চুলের তেল, হ্যান্ডওয়াশ প্রভৃতিতে নিমের তেল ব্যবহার করা হয়। নিমের তেল ত্বকের রোগ সারাতেও বেশ কার্যকর। এ ছাড়া গায়ে মেখে ঘুমালে মশায় কামড়ায় না। নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দেহেও মালিশ করলেও নানা উপকার হয়। বাচ্চাদেরকে নিমের তেল খাওয়ালে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিম তেল ব্যবহারে উপকারিতা নিচে দেয়া হলো-

-নিমতেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর ফলে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। নিমতেল চুলের পি এইচ ভারসাম্যকে ঠিক রাখে। যেটা চুলের জন্য খুবই দরকারি। চুল যদি পাতলা হয়ে যায় তাহলে নিমতেল ব্যবহার করুন। রোজ নিমতেল ব্যবহার করলে চুল অনেকবেশি ঘন, লম্বা আর মজবুত হবে।

-নিম তেলে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটা সুন্দর চুলের জন্য খুবই দরকারি একটি উপাদান। এটি চুলকে সুন্দর ভাবে কান্ডিশনিং করে। এবং চুলকে নরম রাখে এবং একটা সুন্দর ফুরফুরে লুক দেয়। চুলকে খুব ভালো ভাবে কান্ডিশনিং করার জন্য নিমতেল ভালো ভাবে স্ক্যাল্পে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এবং তারপর তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। চুল যথেষ্ট চকচকে ও হেলদি হবে।

-নিমতেলে আছে অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ‘ক্যানডিডা’ নামক ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে। যার কারণে খুশকির সমস্যা হয়। এই সমস্যাকে নিমতেল খুব ভালো ভাবে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও স্ক্যাল্পে অনেক সময় ফুসকুড়ি হয়, লাল হয়ে যায়। এবং মাথা খুব চুলকোয়। এগুলি দূর করে নিমতেল। এছাড়াও স্কাল্পে অন্য কোন ইনফেকশন হলেও সেটি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিরোধ করে।
-এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য অনেক কিছু করেও তেমন কোন স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় না। কিন্তু যদি ব্যবহার করা যায় নিমতেল, তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। নিমতেল ভালো করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে, সারারাত লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ভালো করে আঁচড়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উকুন চলে যাবে।

-ফেসপ্যাকের সঙ্গে নিমের তেল মিশিয়ে লাগালে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়া, যেকোনো ধরনের প্রদাহ এবং খোস-পাঁচড়া দূর করে নিমের তেল।

ডব্লিউজি/এমআর

Recommended For You