অতিরিক্ত খেজুর খেলে যে সমস্যা হতে পারে

শরীরের জন্য খেজুর ফলটি  দারুণ উপকারী। এতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যায় কেউ ভুগলে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। উপকার মিলবে। আবার ওজন কমানোর ডায়েটেও রাখা যেতে পারে খেজুর। রমজান মাসে ইফতারিতে তো খেজুর না হলে চলেই না।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে সমস্যা হতে পারে। যতই স্বাস্থ্যকর হোক, কোনও খাবারই বেশি খাওয়া ভাল নয়। খেজুরের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। বেশি খেজুর খেলে সমস্যা হতে পারে –

পেটের সমস্যা

ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে বেশ জনপ্রিয় খেজুর। অনেকেই নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস খান। তবে খেজুর বেশি খেলে পেট গরম হতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। ড্রাই ফ্রুটসে যে খেজুর থাকে, তাতে সালফাইট দিয়ে জারিয়ে রাখা হয়। সালফাইট শরীরে গেলে পেটের গোলমাল দেখা দেয়। গ্যাস ছাড়াও, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফাইবারের হজম ক্ষমতা উন্নত করে। তবে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ত্বকের সমস্যা

খেজুর সংরক্ষণে সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই সালফাইট শরীরের ভিতরে এবং বাইরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর প্রভাবে ত্বকে র‌্যাশ, চুলাকানি, লাল হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

ওজন বেড়ে যেতে পারে

রোগা হওয়ার ডায়েটে অনেকেই খেজুর রাখেন। তবে অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারণ, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। একটি খেজুরে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ২.৮ গ্রাম। তা হলে বুঝতেই পারছেন, রোজ অন্তত ৪টি করে খেজুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয় কিছুতেই।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খেজুর খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে খেজুর খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। খেজুর খেলে দেখা দিতে পারে এলার্জিও। তাই যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের খেজুর না খাওয়াই ভাল।

ডব্লিউজি/এমআর

Recommended For You