শীতে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

শীত পড়বে আর সর্দিকাশি, জ্বর হবে না, তা কী করে হয়! শীতকাল মানে মরসুমি সংক্রমণের প্রকোপ। ঘরে ঘরে খুসখুসে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি লেগেই রয়েছে। এই মরসুমে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। তার উপর রয়েছে করোনা নিয়ে উদ্বেগ। সর্দিকাশি, জ্বর হলেই মনে হচ্ছে ফের কোভিড হানা দিল না তো? তবে চিকিৎসকরা করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে বারণ করছেন। তবু সুরক্ষিত থাকতে তো দোষ নেই। তার জন্য রোজের জীবনে বদল আনা প্রয়োজন। এই বদল সবচেয়ে বেশি দরকার খাওয়াদাওয়ায়। শীতকালে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকরা কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।

ভাজাভুজিঃ শীতের সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে মনপসন্দ ‘টা’ না হলে চলে না। ঘরে তৈরি পাঁপড় ভাজা দোকানের ফিশ ফ্রাই— শীতে মন ভাল রাখতে জুড়ি নেই এই ধরনের খাবারের। তবে মন ভাল রাখলেও শরীর ভাল রাখে কি? পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শীতকালে এই ধরনের খাবার খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। হজমক্ষমতা বিগড়ে যায়। তাই পেটের খেয়াল রাখতে এই খাবারগুলি থেকে শীতে দূরে থাকুন।

মিল্কশেকঃ শরীর ভাল রাখতে এই ধরনের পানীয় এমনিতে বেশ উপকারী। তবে শীতকালে এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। দুধ দিয়ে তৈরি এই পানীয় ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। গলাব্যথা, সর্দির মতো শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই মিল্কশেকের বদলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন।

বাদামঃ মোয়া, পাটিসাপটার মতো এই সময়ে মিষ্টির দোকানগুলিতে আরও একটি জিনিস চোখে পড়ে, তা হল গুড় আর বাদাম দিয়ে তৈরি বাদামের চাকতি। টুকটাক মুখ চালাতে এই খাবারটি অনেকেরই বেশ পছন্দের। তবে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এগুলি থেকে দূরে থাকুন।

 

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

ডব্লিউজি/এমআর

 

Recommended For You