বিটিআরআই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী

‘মাঝে হল ছাড়াছাড়ি গেলেম কে কোথায়, আরেকটি বার আয়রে সখা প্রাণের মাঝে আয়’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর প্রিয় বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের কাছে পেয়ে প্রাণের ছোঁয়ায় উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠে পুনর্মিলনীতে হাসি-গল্প-গানে মেতেছে প্রিয় ক্যাম্পাস

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়’ ক্যাম্পাসে এই প্রথম পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপিঠে হাসি-গল্প-গানে মেতেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় আলপনা এঁকে রাঙিয়ে তুলেছিল ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, পিডিইউ এর পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হোসনা আফরোজ প্রমুখ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়’ ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অনেকেই আজ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে গিয়েছেন। অনেকে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে।

১৯৭৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই মিলন মেলায় অংশ নেয়। দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, আনন্দ আড্ডা, খাওয়া দাওয়া, পুরস্কার বিতরণ, সম্মাননা দেওয়াসহ নানান আয়োজনে ভরপুর ছিল। এদিকে আয়োজক কমিটি থেকে জানা যায়, ‘এর আগে কখনো এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠে পুনমির্লনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়নি।’

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তফাদার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা সব বান্ধবীরা একত্রে হতে পেরেছি। বান্ধবীদের সাথে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই প্রাণের বিদ্যালয়ে। সবাই কে এক ফ্রেমে পেয়ে এগুলি স্মৃতিচারণ করছি। বেশ ভালো লাগছে। আজকের দিনটি খুবই আনন্দে কেটেছে। তাছাড়া অনেক বন্ধুদেরকেও মিস করছি।’

বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সদস্য শেখ নোমান বলেন, ‘বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় এই এলাকার একটি অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে দেশ বিদেশের উচ্চস্থানে অনেকেই রয়েছেন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন কয়েকজন মিলে পূনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সবার সাথেই যোগাযোগ করেছি। প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা এখানে এসে সবাই খুশি। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। একটি উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা মিলিত হয়েছি।’

বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য মো. তহিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরকম একটি মিলন মেলা সফল করার জন্য প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে এটি একটি আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। এর জন্যই আজ সবাই একত্রে মিলিত হতে পেরেছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবার ও বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।’

ডব্লিউজি/এআর

শেয়ার করুন:

Recommended For You