চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে  ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের এক সদস্য রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

রাজা মিয়া টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। পেশায় টাঙ্গাইলের ঝটিকা বাসের চালক।

এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রাজা মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, রাজা মিয়া ডাকাতির সময় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বাসটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি পুলিশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আরও তথ্য দিয়েছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়ার ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।

ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

 

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *