দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, প্রখ্যাত সাংবাদিক অমিত হাবিবেকে তার গ্রামের বাড়িতেই দাফন করার কথা রয়েছে।
প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে অমিত হাবিবের মরদেহ ঝিনাইদহে তার জন্মস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে প্রথম জানাজা শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বাংলামোটরে দেশ রূপান্তর কার্যালয়ের নিচে প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে প্রখ্যাত এই সাংবাদিকের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশ রূপান্তরের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মামুন এবং জাতীয় দৈনিকটির প্রধান প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত হাবিবের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
অমিত হাবিবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
অমিত হাবিব ১৯৬৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সাব-এডিটর পদে যোগ দেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজে সিনিয়র সাব-এডিটর হয়ে যোগ দেন। পরের বছর একই পদে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে। অল্প দিনের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সেখানে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন।
২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন অমিত হাবিব। ২০০৭ সালে তিনি চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে বেইজিং যান। কিছুদিন পর তিনি সেখান থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর যোগ দেন দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে।
অমিত হাবিব দেশ রূপান্তরের আগে ২০১৩ সাল থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।