পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিনেই কমে গেছে লঞ্চযাত্রী

সর্বসাধারনের জন্য রোববার (২৬ জুন) খুলে দেয়া হয় পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল। আর সেতু চালুর পথম দিনেই এর প্রভাব পড়েছে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চে। রোববার রাতে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করা লঞ্চের বেশিরভাগ লঞ্চেই কেবিন খালি ছিল। ডেকের যাত্রীও কম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ্যাডভেঞ্চর-১ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের লঞ্চের ডাবল কেবিন রয়েছে ৫৫টি। যার মধ্যে আটটি ভাড়া হয়েছে, বাকিগুলো খালি ছিল। সিঙ্গেল ৫৫টির মধ্যে বেশিরভাগ খালি ছিল। ভিআইপি চারটি কেবিনের মধ্যে একটি এবং সেমি-ভিআইপি পাঁচটির মধ্যে একটি ভাড়া হয়েছে, বাকিগুলো খালি ছিল। ডেকের যাত্রী তেমন ছিল না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কেউ দেখার জন্য গেছেন, কেউ কেউ সড়কপথে গন্তব্যে গেছেন। এ জন্য যাত্রী সংকট ছিল। তবে এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে বলে মনে হয় না।

সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার বলেন, আমাদের ৩২টি ডাবল কেবিনের সব ভাড়া হয়েছে। সিঙ্গেল ৬১টি কেবিনের মধ্যে খালি ছিল চারটি, ভিআইপি ছয়টি ও সেমি-ভিআইপি পাঁচটি ভাড়া হয়েছে। ৪৪টি সোফার মধ্যে চারটি খালি ছিল। তবে ডেকের যাত্রী প্রতিদিনের চেয়ে কম ছিল। পদ্মা সেতু চালুর কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এ কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। লঞ্চের যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল এবং থাকবে। তাছাড়া সড়কের চেয়ে নদীপথে পণ্য পরিবহন ব্যয় অর্ধেক হওয়ায় স্বাভাবিক দিনগুলোর মতই পণ্য পেয়েছি। যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে নদীপথ সচল রাখতে হবে।

ডব্লিউজি/এএইচ

Recommended For You

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *