ব্যাস্ত মাওয়া ঘাট এখন অলস হয়ে পড়ে আছে। নেই তার সেই চিরচেনা রূপ। নেই কুলিদের হাঁকডাক। কানে আসছে না আর ফেরির ছুটে চলার হুইসেল। ব্যস্ত মাওয়া ঘাট এখন অতীত! অথচ এই ঘাট সকাল কি সন্ধ্যা ২৪ ঘণ্টাই জনাকীর্ণ থাকত। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতো যানবাহনের সারি। ক্লান্ত চোখগুলো জেগে থাকত লঞ্চ বা ফেরির অপেক্ষায়।
মাওয়া ঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় বসেছিলেন অটোরিকশাচালক রাকিব। কোনো যাত্রী না পাওয়ায় হতাশ। তিনি জানান, অন্যদিন বসে থাকা লাগত না। সবসময়ই যাত্রীদের আনাগোনা থাকত। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় আজ কোনো যাত্রী নেই। যাত্রী নেই, এখন কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী আর করা; অন্য কোনো রুটে চালাব।
ঘাটের রেস্টুরেন্টে নেই কোনো কাস্টোমার। তবুও খরিদ্দারের আশায় দোকান খুলে আছেন তারা। লঞ্চঘাটে ভিড়লেই কে কার আগে কাস্টোমার বাগাতে পারে, সেই প্রতিযোগিতা চলতো। আজ তার কিছুই নেই। অলস বসে থাকা রুস্তম নামে এক রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার বলেন, আমাদের দিন শেষ হতে চলল। আগের সেই জৌলুস আর থাকবে না। তবে, সন্ধ্যার পর হয়তো টুরিস্টের ভিড় বাড়তে পারে।
ডব্লিউজি/এএইচ