
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ,৫:৪৩ পিএম

ছবি – ডব্লিউ জি নিউজ
ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় ব্যবহার করে জাল দলিল সৃষ্টি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রশিক শেখর ভৌমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ জুন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন উপজেলার আমানউল্যাপুর গ্রামের বাসিন্দা বিমল চন্দ্র দাস।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট রশিক শেখর ভৌমিক ও তার সহযোগী ভূমিদস্যুদের পারস্পরিক যোগসাজসে তার জেঠা ভারতের স্থায়ী নাগরিক ছায়া রঞ্জন দাসকে বাংলাদেশী নাগরিক সাজিয়ে জাল দলিল সৃজন ক্রমে তাদের বসত বাড়িঘর জবর দখল করেন। তার জেঠা ছায়া রঞ্জন দাস ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ার স্থায়ী নাগরিক। অথচ ওই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে একটি চক্র তার পরিবারের বিএস রেকর্ডভুক্ত ৬৬ শতক জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ২০০৫ সালে প্রথমে জাল দলিল সৃজন করে আবুল কাশেম দুলাল ও তার স্ত্রীকে দলিলগ্রহীতা দেখানো হয়। এরপর একইভাবে একাধিক ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টা চলে।
ডব্লিউ জি নিউজ সর্বশেষ জানতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
অভিযোগকারী বিমল চন্দ্র দাস আরও জানান, ভূমিদস্যুরা তার কাকা সুবল চন্দ্র দাস ও ভ্রাতৃবধূ স্বরস্বতী রানী দাসকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে ভূয়া সোলেনামা দাখিল করায় এবং তাদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে আদালতে মামলা পরিচালনা করে। পরবর্তীতে এই ভূয়া রায় ও ডিক্রীর বিরুদ্ধে তারা ২০০৬ সালে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, রশিক শেখর ভৌমিক তৎকালীন সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করান এবং জরিপে তাদের নাম কেটে ভূয়া খতিয়ান সৃষ্টি করেন। সংবাদ সম্মেলনে দাগনভূঞা থানা, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিকট ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দখলকৃত জমি উদ্ধারের দাবি জানান বিমল দাস।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট শেখর ভৌমিক জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এছাড়া দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দিরের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।’
ফেনী প্রতিনিধি : ডব্লিউ জি নিউজ ডেস্ক