

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ছবি সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জোর করে দখলকৃত প্রেসক্লাব অবমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হলো।তা না হলে আমরা যারা মূলধারার সাংবাদিক তারাই তাদেরকে বিতাড়িত করবো।এবং আগামীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব পরিণত হবে সাংবাদিকদের মিলন মেলার স্থল। এছাড়া সভায় তারা বলেন,প্রেসক্লাব হলো একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।এখানে কোন রাজনীতি নেই, বিগত দিনেও ছিল না।কিন্তু কিছু অসাংবাদিক যারা বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিকতা না করে চেয়ার দখল করে আছে।সাতক্ষীরার স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের মাইম্যান হিসাবে মূলধারার সাংবাদিকদের পিটিয়ে ক্লাব ছাড়া করেছিল তারা।তারাই ৫ আগষ্ট পরবর্তী ভোল পাল্টিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী সেজে আবারও প্রেসক্লাবের চেয়ার দখল করে নিয়েছে।মূল ধারার সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করতে ফ্যাসিবাদের দোষর থকমা লাগিয়ে বিভিন্ন ভাবে দমানোর চেষ্টা করছে।সাতক্ষীরার ২৪ লক্ষ মানুষের পক্ষে কথা বলার একটি প্রতিষ্ঠান এভাবে অসাংবাদিকদের হাতে জিম্মি থাকতে পারেনা।সাতক্ষীরার উন্নয়ন,অবহেলিত সড়ক ও জনপদ, শিক্ষা, জলাবদ্ধতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সকল কিছুর চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।সেই সাংবাদিকদের একমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রেসক্লাব যদি অসাংবাদিক দিয়ে জবর দখল করে রাখে।তবে এর মত ন্যাক্কার জনক কিছু নেই বলে মনে করি।যারা সরকারি খাসজমি বছরের পর বছর নিজেদের দখলে রাখতে,নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে,সকল অফিস আদালতে প্রভাববিস্তার করতে চায়। তারাই শুধু প্রেসক্লাবকে জিম্মি করে রেখেছে।প্রেসক্লাবের চেয়ার ম্যাজিক্যাল,চেয়ার থাকলে তাদের সকল অপকর্মের বৈধতা পাবে। সেই নেশায় চেয়ার কে আকড়ে ধরে রেখেছে দখলকৃত অসাংবদিকরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যার পত্রিকা বন্ধ হয়েগিয়েছিল যিনি ১৭ বছর কোন পত্রিকার সাংবাদিকতা করেননি,যার কোন নিউজই প্রকাশ হয় নি।তারপরও তিনি ৫ বারের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বহালতবিয়তে চেয়ারে ছিলেন সাংবাদিক নামধারী আব্দুল বারী।তিনিই প্রথমে ভোল পাল্টে ফ্যাসিবাদ বিরোধী পরিচয় দেয়।সে আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ৩২ বিঘার খাসজমি নিয়ে শুরু করে একটি মৎস্য ঘের।বর্তমানে সেই ঘেরটি সাড়ে তিনশো বিঘা খাসজমি নিজের দখলে রেখেছে। গত ১৭ বছর ভোগ দখল করে আছে সেই অসাংবাদিক আব্দুল বারী। এখনও সেটা চলমান আছে।মূল ধারার সাংবাদিকদের ফ্যাসিষ্ট হিসাবে আখ্যায়িত করে। এই অসাংবাদিক দের আসলে খুঁটির জোর কোথায় আমরা সেটা জানতে চায়।প্রশাসন যদি কোন ফয়সালা না করে তা হলে আমরা সাতক্ষীরার মূলধারার সাংবাদিকরা তাদেরকে বিতাড়িত এবং বয়কট করবো বলে তাদের বক্তব্যে হুশিয়ারী দেন।
ডব্লিউ জি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
বুধবার(১৮ জুন) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের নিয়ে পরিচিতি সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি বাংলাদেশ বেতার,ইনডিপেনডেন্ট টিভি ও আজকের পত্রিকার আবুল কাশেম সভাপতিত্ব করেন।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভায় সাধারণ সম্পাদক বাসস ও বাংলা ভিশন টিভির মো. আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্জালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী,দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক ও প্রকাশক জি এম নুর ইসলাম, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের এড.আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেকী ইলাহি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সময় টিভির মমতাজ আহম্মেদ বাপি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীনের সম্পাদক আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি এম বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ময়না
সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আকরামুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক মাসুদুজ্জামান সুমন,কাজী জামালউদ্দীন মামুন, আব্দুস সামাদ ও আসাদুজ্জামান সরদার।
এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, এনটিভির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, দৈনিক হৃদয় বার্তার সম্পাদক জিএম মোশাররফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আলী মোক্তাদার হৃদয়, দৈনিক জনবাণীর রায়হান সিদ্দিকী, দৈনিক বাংলার আবু সাঈদ, গ্লোবাল টিভির রাহাত রাজা, দৈনিক একাত্তর বাংলার অ্যাড. এবিএম সেলিম, আজকালের খবরের এস এম তৌহিদুজ্জামান, ঢাকার ডাক পত্রিকার তৌহিদুজ্জামান লিটু, রুপালি বাংলাদেশের আব্দুল মমিন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশের জামালউদ্দীন, ভোরের আকাশের আমিনুর রহমান, দৈনিক ঘোষণার আজিজুল ইসলাম ইমরান, স্বদেশ প্রতিদিনের হাবিবুর রহমান সোহাগ, ঢাকা টাইমসের হোসেন আলী, দৈনিক রানারের শহীদুজ্জামান শিমুল, গণকণ্ঠের সাইফুল বাশার ও যায় যায় কালের আব্দুর রহমান, একুশে সংবাদের সানজিদুল হক ইমন, সমাজের কথার সিরাজুল ইসলাম, নবচেতনার হাসান গফুর, ভোরের চেতনার রমজান আলী, রূপান্তর প্রতিদিনের আব্দুস সালাম,খবর বাংলাদেশের রেজাউল ইসলাম বাবলু, নওরোজ ও কালান্তরের বোরহানউদ্দীন বুলু, দৈনিক অনির্বাণের জিএম সোহবার হোসেন, ভয়েজ অব টাইগারের মিলন কুমার বিশ্বাস, দেশ সংযোগের আমিরুল ইসলাম, আমার প্রাণের বাংলাদেশের নাজমুল আলম মুন্না, মানবাধিকার প্রতিদিনের ওয়াইজ কুরনি, আলোকিত সকালের সেলিম হোসেন, প্রতিদিনের কাগজের ইদ্রিস আলী, আজকালের কন্ঠের আতিয়ার রহমান ও প্রজন্ম একাত্তরের সাইফুল আযম খান মামুন,আমার সংবাদের কাজী নাসির উদ্দীন,ভোরের কাগজের মশিউর রহমান ফিরোজ,পর্যবেক্ষণ ও বাংলা এফএম-এর এস এম হাবিবুল হাসান,মো.হাফিজুল ইসলাম।
এছাড়া সহযোগী সদস্যরা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মুনসুর রহমান, শেখ সিদ্দিকুর রহমান,শহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জাফর মো. সালেহ, মোরশেদুল হক, এস এম শাহা নেওয়াজ মাহমুদ রণি, হাবিবুল্লাহ বাহার, হামিদুল ইসলাম, মাসুদ হাসান মনি, রেজাউল করিম, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
ডব্লিউ জি ডিজিটাল।