বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ছবি সংগৃহীত

গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, জাতীয় টিভি চ্যানেল,চট্টগ্রামের স্হানীয় জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা,অনলাইন নিউজ, পোর্টাল নিউজ, সোশ্যাল মিডিয়াসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া প্রসাশনকে হুমকি দিয়েছেন মর্মে একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়ে এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে ঐ বক্তব্য সঠিক নয় এবং আংশিক প্রচার করে একটি মহল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করে আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া উনার বক্তব্যের পূর্নাঙ্গ ব্যাখা দিয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রচার করার উদ্দেশ্যে দেওয়া ব্যাখ্যাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-আমি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, আহ্বায়ক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সম্প্রতি সময়ে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত চ্যাটেলাইট অনলাইন টিভি চ্যানেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আমার একটি বক্তব্য জুড়ে দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার মূল বক্তব্য ছিলো এরকম, কিন্তু আমার পুরো মূল বক্তব্য প্রচার না করে কৌশলে খণ্ডিত অংশ প্রচার করে জনগণের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম লোহাগাড়া বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিটের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের দাওয়াতে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হলে স্হানীয় বিএনপির নেতারা আমার কাছে অভিযোগ করে বলেন স্হানীয় ইউএনও ওসি আমাদের কথা শুনেন না।শুনেন জামাতের কথা, বিএনপি পরিবর্তে জামাতের ইশারায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি দাওয়া অভিযোগ কৌশলে এড়িয়ে চলেন,- প্রতিত্তোরে আমি বলি- ব্যক্তির চেয়ে দল বড়ো,নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ রাখা যাবে না। দলের স্বার্থে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্হানীয় প্রশাসন অবশ্যই গুরুত্ব দিবে,কথা শুনবে।
আমি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বুঝতে চেয়েছি,উন্নত কর্মকান্ড পরিচালনা করতে স্হানীয় ইউএনও ওসি কে অবশ্যই বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও জনগণের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।স্হানীয় প্রশাসন যদি জনগণের সাথে সমন্বয় না করে তাহলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন না।আমার এই বক্তব্য কখনোই প্রশাসনের বিরুদ্ধে না।আপনারা জানেন আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা কালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ ছিল না।আমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি থানা উপজেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আমার একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।মুলত আমি একজন প্রশাসন বান্ধব মানুষ হিসেবে সকলের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে একটি কুচক্রী প্রতিদ্বন্ধি মহল প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা দের সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমাদের উপজেলা গুলো ইউএনও ওসি উনারা হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা,আম সবসময় চেষ্টা করি উনাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে। এ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবেনা আমি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন এবং বর্তমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর কোন প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাকে কোন কাজে হস্তক্ষেপ করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আমার ভিডিও টা ছিলো এডিট করানো। আমার বক্তব্যের পুরো ভিডিও ছিলো ০৮মিনিট ১২ সেকেন্ডের, কিন্তু প্রচার করা খণ্ডিত ভিডিওটি মাত্র ২১সেকেন্ডের।আমার বক্তব্যে আমি বুঝতে চেয়েছি যে,বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন রকম দলীয় কোন্দল বা ভেদাভেদ থাকতে পারবেনা।নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ নাই বলেই ইউএও ওসি আমাদের নিয়ে বা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে পারছেনা। অন্যান্য দলের মতো আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে,অবশ্যই ইউএনও ওসি অন্য দলের মতো আমাদের কথা শুনবেন এবং আমাদের সহযোগিতা করবেন।
মূলত আমার দীর্ঘ পথচলা ও জনপ্রিয়তাকে বাঁধা সৃষ্টি করতে প্রতিদ্বন্দ্বী ও কুচক্রী মহল অপপ্রচার গুজব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ডব্লিউ জি ডিজিটাল।

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam