

রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ইং, ছবি সংগৃহীত,
পাবনার ঈশ্বরদীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মা-মেয়েসহ তিনজনের নিহতের ঘটনায় চালক মামুন হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পাকশী হাইওয়ে পুলিশ। রোববার (১৫ জুন) গ্রেপ্তার মামুন হোসেনকে পাবনা জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মামুন যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার রায়পুরের রামকান্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামুন দুর্ঘটনার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আপোষ-মীমাংসা করার জন্য কতিপয় ট্রাক শ্রমিক নেতার কাছে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাবনা জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুন সকালে দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কের মিরকামারী মুন্নার মোড় এলাকায় সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডব্লিউ জি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী গ্রামের মৃত আবেদ মন্ডলের ছেলে লিচু বিক্রেতা আনিসুর রহমান (৫৫),
নাটোর সদর উপজেলার আমহাঁটি গ্রামের মফিজুল ইসলাম স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (৩২) ও তার মেয়ে পূর্ণতা খাতুন (৮)।
দুর্ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেল চালক নাটোর সদর জেলার আমহাঁটি গ্রামের মফিজুল ইসলাম (৩৮)।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন সকালে মুন্নার মোড়ে সড়কের পাশে লিচু বিক্রি করছিলেন আনিসুর। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই সড়ক পথে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন মফিজুল।
তিনি মুন্নার মোড় এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থামিয়ে লিচুর দরদাম করছিলেন।
এসময় দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান ৪ জনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে আহত হন চারজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে
গেলে চিকিৎসক লিচু বিক্রেতা আনিসুর এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুবর্ণা খাতুন ও তার মেয়ে পূর্ণতাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক মফিজুলের বড় ভাই সিদ্দিক পাটোয়ারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পাবনা প্রতিনিধি – ডব্লিউ জি ডিজিটাল