

‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’—এই স্লোগানে খুলনায় আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।
সভায় তিনি বলেন, “তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। ধূমপান শুধু নিজের নয়, পরোক্ষভাবে অন্যের জীবনকেও বিপন্ন করে। তামাক নিয়ন্ত্রণে পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
আলোচনায় জানানো হয়, দেশে প্রতি বছর তামাকজনিত কারণে মারা যান প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে ভুগছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ১৫ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় আক্রান্ত। পরিসংখ্যান আরও জানায়, দেশে ৬১ হাজারের বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, আর ১৫ বছরের নিচে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ শিশু তামাকজনিত নানা রোগে ভুগছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, আনসার ও ভিডিপির পরিচালক এএসএম আজিম উদ্দিন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সৈকত মো. রেজাওয়ানুল হক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. শিহাব করিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য কাজী মো. হাসিবুল হক।
অনুষ্ঠান শেষে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার। এর আগে সকালে শহীদ হাদিস পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার বাস্তবায়নে এই ধরনের কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধি