বেতাগীতে বন্যার পানিতে প্লাবিত ১০ গ্রাম 

বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছোট মোকামিয়া কিসমত করুণা এলাকায় বিষখালী নদীর দেড়শ মিটার  বেড়িবাঁধ উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষি জমির ব্যপক ক্ষতি হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে কয়েকটি গ্রাম। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে জোয়ারের পানিতে এই ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছর বেরিবাধ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদাররা কাজ ফেলে রাখে। ফলে হঠাৎ সৃষ্ট হওয়া বন্যায় পুরো এলাকায় পানি ডুকে পড়লে শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকদিন পর ঈদ, আনন্দের জোয়ারে ভাটা লেগে গেছে এই সকল পরিবারের মাঝে। 

  উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার বেতাগীতে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের পর গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে মূষলধারে বৃষ্টি। উপজেলা ছোট মোকামিয়া কিসমত করুণা এলাকায় বিষখালী নদীর দেড়শ মিটার  বেড়িবাঁধ উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে মাঠের উঠতি ফসল। ছোট মোকামিয়া,  ঝিঙাবাড়িয়া, চরখালী, বটতলা,বদনীখালীসহ  ১০ টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় কৃষক ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের।

মোকামিয়া ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের কৃষক  আব্দুর রহমান (৫৬) বলেন, আজ দুপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙে মাঠের মুখডাল, বাদাম ও বোরো ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে সকলের সতর্ক থাকা জরুরি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে পূর্বেও উপজেলা প্রশাসন ছিল, এখনও থাকবে। 

মাহমুদুর রহমান (বরগুনা) প্রতিনিধি

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam