সকল বুদ্ধিজীবীর মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমাদের সেই প্রত্যয়ে কাজ করে যাওয়ার কামনা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। এই দিনটি পৃথক পৃথক যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, আরএমপি পুলিশ কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪’ পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে নভেম্বও রাজশাহীর শহরের বাসা থেকে তৎকালীন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ুমকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশ স্বাধীন হওয়ার দুই দিন পর পদ্মার চরে একটি গন কবরে ওই শিক্ষকের মরাদেহ পাওয়া যায়। এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯মাস ধরে যে বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছিল। যার মূল লক্ষ্য পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ন কর্মকর্তা রাও ফরমান আলী। তথ্যমতে ১৯৭১সালের ১৪ডিসেম্বও ঢাকা থেকে ২শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ঘাতকরা মর্মান্তিভাবে হত্য করে ছিল।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে, বিশেষকরে ১৪ ডিসেম্বরে পরিকল্পিতভাবে হানাদার বাহিনী কর্তৃক রায়ের বাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাতির যে সূর্য-সন্তানদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাঁদের স্মরণেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। সারা বাংলাদেশে সংখ্যা ১ হাজার ১ শত ১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েিেছল। যার মধ্যে শুধূ ঢাকায় ১শত ৪৯জন এবং রাজশাহীতেই ৬১জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করাই ছিল এ নারকীয় হত্যাকা-ের মূল উদ্দেশ্য। জুলাই বিপ্লব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন একটি দেশ গড়তে শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, জুলাই বিপ্লবে ছাত্ররাও সেভাবেই তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। এসময় নতুন বাংলাদেশ গঠনে শিল্পী-সাহিত্যিকদের অবদান হিসেবে ‘আওয়াজ উডা বাংলাদেশ’ ও ‘কথা ক’ শীর্ষক গানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
১৪ ডিসেম্বর দিনটি পালনে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনার আব্দুর রহীম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। অপরদিকে পুস্পস্তবক অর্পণকালে রাসিকের সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মোঃ সানাউল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমেদ আল মঈন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার হোসেন, প্রধান কর নির্ধারক গোলাম রব্বানী, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (কর) ইমতিয়াজ আহমেদ, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (কর) মোঃ মহিউদ্দিন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হক, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদা, সিসিডিও আজিজুর রহমান, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান, ভান্ডার কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব খোকন, সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা রকিবুল হক তুহিন, মনিটরিং কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন মুন, মনিটরিং কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান জিতু।