
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন স্বাধীনতার উম্মোচন হয়েছে। এই স্বাধীনতা স্থায়ীত্ব করতে সকলকে কাজ করতে হবে। সরকারী দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব ও বৈষম্য প্রতিহত করতে হবে। যোগ্যতা, শিঙ্খৃলা, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজের স্থান তৈরী করতে হবে। চাকুরী ক্ষেত্রে কোন ডিও লেটার, সুপারিশ, অর্থ লেনদেন চলবে না বলে জানান নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আক্তার।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী চারঘাট উপজেলা প্রশাসনের একটি মতবিনিময় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আক্তার এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বর্গ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এই নদী কেন্দ্র করে অনেক জেলে তাদের জীবন জীবিকা পরিচালনা করছেন। বিশেষ করে জেলার পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলা নদী তীরবর্তী। অথচ কিছু অসাদু বালু ব্যাবসায়ীরা অনিয়ম করে বালু উত্তলোন করছে। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মান করে নদীর পানির প্রবাহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যার ফলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে এবং মাছ উৎপাদনে ব্যহত হচ্ছে।
অপরদিকে চারঘাট উপজেলা একসময় খয়ের শিল্পে দেশের প্রসিদ্ধ স্থান ছিল। কিন্ত সরকারী তদারকি না থাকার করনে তা প্রায় বিল্পতির পথে। একইভাবে পাদুকা শিল্প, তাঁত শিল্পসহ নানা উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম। বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক পরিচয়ে তাদের কর্ম থেকে বিরত থাকছেন। অনেক এমপিও ভুক্ত কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রর্দশক ও গ্রন্থগার অনিয়মিত থাকার ও অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তা প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার উন্নয়নে কাজ করবে। তবে সকলের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা গুলো সমাধানের প্রচেষ্টা করা হবে। সর্বপরি ইউএনও মতবিনিময় সভায় উত্থাপিত সমস্যার তদন্ত করে রির্পোট জমা দিবেন। পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা গুলো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিসি। পরিশেষে ইউএনও সানজিদা সুলতানা নবাগত জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তারকে স্মারক দিয়ে সম্মা্নান দেন। ওই সময় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সকল কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।