ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির ৩ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এতে প্রথমে তারা রামপুরায় বাধার সম্মুখীন হন। পরে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য পুলিশ ছয় জন প্রতিনিধিকে সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়।
ছয় প্রতিনিধি হলেন—যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনে কথা বলেছি। কথা অনুযায়ী বিএনপির তিন সংগঠনের ৬ জন প্রতিনিধিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পুলিশ রামপুরা ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রাটি আটকে দেয়। তার আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার ওপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
পদযাত্রায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।