এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচ জিতে আগেই নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও বজায় ছিল দাপট। পাঁচ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে টাইগ্রেসরা। এতে উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে আরও দুই পয়েন্ট বাড়ল বাংলাদেশের

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগ্রেসরা।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬ রানে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করেন ফারজানা হক ও শারমিন সুপ্তা। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন। ব্যক্তিগত ৫০ রানে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা। অন্যপ্রান্তে সুপ্তা সাজঘরে ফেরেন ৪৩ রানে। সোবহানা মোস্তারি ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

৪০ রানে জ্যোতি যখন বোল্ড হন তখন বাংলাদেশের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। দুজনে যথাক্রমে ২৯ ও ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে গ্যাবি লুইসকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাহিদা আক্তার। আরেক ওপেনার সারা ফোর্বসের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। অ্যামি এবং অরলা প্রেন্ডারগাস্ট মিলে ৯১ রানের জুটি গড়েন। ৩৭ রান করে অরলা বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর লরা ডেলানি ছাড়া আর কেউই অ্যামিকে সঙ্গে দিতে পারেননি।

ডেলানির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। তার বিদায়ের পর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন অ্যামি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া বাকিরা কেউই বড় অবদান রাখতে পারেননি।

আয়ারল্যান্ড শেষ চার ওভারে তোলে ৩৪ রান। তাতে সফরকারীদের স্কোর দুইশর কাছাকাছি পৌঁছায়। উনা রেমন্ড হোয়ে ১৮ বলে ২ চারে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা দুটি এবং নাহিদা ও স্বর্ণা আক্তার একটি করে উইকেট নেন।

 

Recommended For You

About the Author: Shafiul Islam