সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে।
সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় মোল্লা কলেজের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসময় মোল্লা কলেজের গেট ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার, কম্পিউটার-ল্যাপটপ-ডকুমেন্টসহ মূল্যবান অসংখ্য জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের।
তবে হামলা থেকে রক্ষা পেতে মোল্লা কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছেন মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে মোল্লা কলেজ ভবনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে।
তাদের সংঘর্ষের ফলে ডেমরার এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাঝে পড়ে এসময় মোল্লা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
এসময় পাশের মসজিদ থেকে সংঘর্ষে প্রাণনাশের ঘটনা যেন না ঘটানো হয় সেব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/
এর আগে আল্টিমেটাম অনুযায়ী সমাধান না পাওয়ায় সোমবার সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। পরে সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে।
পরে মোল্লা কলেজের সামনে গেলে সেখানে থাকা কলেজটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা এই সংঘর্ষে তিন কলেজের কমপক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আগের দিন রোববার ডিএমআরসির নেতৃত্ব ঢাকার বেশকয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কলেজের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাখ্যা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানকে এসময় মাইকিং করতে দেখা গেছে।
এসময় তিনি বলেন, তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। গতকালের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা ছিল। আজও এখানে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি আসবে, সোহরাওয়ার্দী কলেজকে বলতে চাই গতকালের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে।