মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার বাবা-মা পলাতক রয়েছেন।
নিহত পলি খাতুন (২৪) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের গোপালদিয়াড় গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে।
অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা জানান, গত কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে কোন এক সময় স্ত্রী পলি খাতুনকে ঘরে আটকে মারপিট করে হত্যা করে স্বামী রবিউল ইসলাম। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রবিউল চিৎকার করতে থাকেন।
পরে রবিউল তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও স্ত্রী পলি বিষপানে আত্মহত্যার করেছে বলপ খবর দেয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়িতে আসলে তোপের মুখে লাশ ফেলে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম তাঁর বাবা গিয়াস উদ্দীন ও মা পারুলা খাতুন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পলি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পলি খাতুনের বাবা ফরিদ আলী বাদী হয়ে রবিউলের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিহত পলির পিতা গিয়াস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, জামাই রবিউল এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া থাকায় প্রতিবাদ করায় মেয়ের উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার আমার মেয়েকে মারপিট করায় সে আমার বাড়ি চলে আসছিল। পরে গ্রামের মধ্য থেকে আমার মেয়েকে ফেরৎ নিয়েগিয়ে মারপিট করে হত্যা করে।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে হত্যা নাকি আত্নহত্যা তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।