ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র- জনতা হত্যা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন ছাগলনাইয়ার মটুয়া গ্রামের মুহুরী বাড়ির ছেরাজুল হকের ছেলে পেয়ার আহাম্মদ (৬০), ফেনী সদরের উত্তর শিবপুরের আক্তারুজ্জামান মজুমদারের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে সবুজ মেম্বার (৪২) ও ধর্মপুরের জোয়ারকাছাড়। গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল কাইয়ুম (৫০)।
র্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে ফেনীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবদুল কাইয়ুম মহিপালে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ফেনী কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদ হত্যা মামলার আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। আদালতে ওই মামলার এক আসামির জবানবন্দী অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, গ্রেপ্তার পেয়ার আহাম্মদ মহিপালে গুলিতে ছাগলনাইয়া আবদুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম (২৫) হত্যা মামলার আসামি। সোমবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুস শুকুর জানান, গ্রেপ্তার মো. ইকবাল হোসেন ওরফে সবুজকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর দাগনভূঞায় মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এ মামলা করেছেন।