বায়েজিদ থানার ওসির বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর অভিযোগ

বায়েজিদ থানার ওসির বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর অভিযোগ
চট্টগ্রামে থানা পুলিশের প্ররোচনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মামলার খোদ বাদী-ই চেনেন না আসামীকে। এমনকি তিনি আসামীকে এ মামলাটি থেকে জামিনের জন্য আদালত বরাবরে একটি চিঠিও প্রেরন করেন। চিঠি পেয়েই বিচারক আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার (২৯শে অক্টোবর) বিস্তারিত ঘটনার উল্লেখ করে এর প্রতিকার চেয়ে আইজিপি বরাবর বায়েজিদ থানার ওসি এবং আরো তিন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪শে অক্টোবর সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদস্থ আমিন জুট মিলের একটি ট্রাক থেকে মালামাল লুট করা হয়। উক্ত ঘটনায় আসামী করা হয় অভিযোগকারী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ও বিএনপি নেতা তানভীর ইসলাম তাসিনকে । অথচ তানভীর উল্লেখ করেন, তিনি ঐ মুহুর্তে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তখন তিনি বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায় ছিলেন চকবাজার এলাকায়। সিসিটিভি ফুটেজসহ অভিযোগে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে ঘটনাটির প্রতিকার চেয়েছেন।
এদিকে অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় মালামাল লুটের মামলায় বাদীই চেনেন না আসামী তানভীরকে। বিষয়টি জানতে চেয়ে থানা পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ তাকে আরও মামলায় আসামী করবেন বলে হুমকি দেয় মর্মেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বায়েজিদ থানার ওসি আরিফুর রহমান, এসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই সৈয়দ আবুল হাশেম ও এএসআই মেজবাহ।
অভিযোগ বিষয়ে তানভীর ইসলাম তাসিন বলেন, পুলিশ প্ররোচনা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। বাদীর সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। সে আমাকে চিনেও না। তাছাড়া ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সিসিটিভিতো আর মিথ্যা বলেনা বা সেই ভিডিওগুলোতোও আর এডিট করা সম্ভব না।
মূল বিষয় হচ্ছে যে, বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে আমার। আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগের কাছে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিএনপি রাজনীতি নিয়ে ওসির সাথে এর আগেও মনমালিন্য হয়েছে আমার। তিনি আরও বলেন, এই ওসি বিএনপি জামায়াত বিদ্বেশী। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন, জুলাই বিল্পবের পরে ওনার থানায় খোদ বিএনপির কয়টা নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে? তাহলেই বুঝে যাবেন সব। আমি এ মামলা থেকে অব্যাহতি চাই। পাশাপাশি ওসির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে বায়েজিদ থানার ওসি আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি। ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শেয়ার করুন:

Recommended For You