গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করাসহ তাদের পাশে দাঁড়ানোর সব পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যেভাবে শহিদ ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো দরকার ছিলো তা এখনো পারিনি। তবে চেষ্টার বিন্দুমাত্র ত্রুটি ছিলো না। এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম মাত্র শুরু হয়েছে। যার কার্যক্রম আমরা জীবন দিয়ে হলেও ধরে রাখবো। আমরা সবার কাছে যাব, কথা শুনবো।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহিদ তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করাসহ পাশে দাঁড়ানোর সব পরিকল্পনা রয়েছে। শহিদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। নভেম্বর মাসের মধ্যে শহিদদের লিস্ট চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানান, শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। সঙ্গে কী কী আনতে হবে তাও জানান তিনি।
ভিডিও’র ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’। শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এর পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে শনিবার।
সঙ্গে যা নিয়ে আসতে হবে তা হলো :
১.শহীদ ভাই বা বোনের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
২.ডেথ সার্টিফিকেট
৩. নমিনি (যার নামে অ্যাকাউন্ট তার) এনআইডি কার্ড
৪. বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড (শহীদ ভাইয়ের স্ত্রী নমিনি হলে সাথে শহিদ ভাইয়ের বাবা/ মাকে নিয়ে আসতে হবে।
এর আগে সারজিস আলম জানিয়েছিলেন , শনিবার ২০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেওয়া হবে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ভাগে টাকা দেওয়া হবে। প্রতি ভাগে আর্থিক সহায়তা পাবেন ৫০টি পরিবার। যেন কেউ এসে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়। এজন্য ২০ জনের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।
প্রথম ধাপের এ আয়োজন শুরু হয় সকাল ৯টায়। তথ্য হালনাগাদ শেষে সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল আয়োজন। শহিদদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। আয়োজনে অংশ নিয়ে পরিবারের সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।