মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকরী ভুমিকা কাম্য

সম্প্রতি রাজশাহীসহ সারাদেশ ব্যাপী কিছু অসাদু ব্যবসায়ীরা মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনিয় ঔষধ, খাদ্য, বস্ত্রসহ বিভিন্ন প্রসাধনী নিজের মনগড়া মূল্য দিয়ে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠছে। দেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধ, ভেজাল পণ্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারে জোড়াল ভুমিকা কামনা করছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বৃদ্ধি করেছে। প্রাকৃতিক কারনে হঠাৎ করে দেশের জেলা ও উপজেলায় বন্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। দেশের দুই-তিন জেলায় বন্যা হলেই খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কথা না। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এখন সকল ধরনের ফসল চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। সরকারী কৃষি দপ্তরের প্রযুক্তিগত কারনে না না রকম ফসল পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ফলন হচ্ছে। তবে চাষাবাদের মাটির ধরনের কারনে অনেক জেলায় ফসল বেশি হয়, তবে কম-বেশি সব জেলায় ফসল চাষাবাদ হচ্ছে বলে জানান কৃষি দপ্তর।

বিভিন্ন দপ্তরের তথ্যমতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হয় এই দেশের ঔষধ, সবজিসহ না না প্রসাধনী। অনেক সময় এদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থ প্রাচুর্য অট্রোলিকা গড়তেই তাদের অসত প্রন্থা অবলম্বন করছে। যার কারনে হঠাৎ বৃষ্টির মতো বিভিন্ন পণ্যের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি হয়।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী শহর ও ৯টি উপজেলার বিভিন্ন নিন্ম আয়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে দেশের সকল স্তরের মানুষ গুলো যেন তাদের আয়ের মধ্যে জীবন জীবিকা নিবারণ করতে পারে। গুনগত মান সম্পূর্ণ ঔষধ. চিকিৎসা সেবা, সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রয়োজনিয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রত্যেক জেলার ডিসি ও উপজেলার ইউএনওসহ সকল দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠর নির্দেশের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রনে করা।

রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ হোসেন প্রায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছেন। তার দাপ্তরিক কাজের মাধ্যেই বিভিন্ন বাজারের ঔষধ ফার্মেসি গুলোতে চিকিৎসক ও থানা পুলিশ নিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করছেন। উপজেলা বাজারের মাছ, মাংস, নানা প্রকারের সবজির খুচরা মূল্য সঠিক থাকার বিষয়ে সচেতন সহ জরিমানাও করছেন।

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে মানুষের অসুস্থার সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ভেজাল খাবার, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ এবং বিভিন্ন প্রসাধণী সাধারন মানুষ না বুঝে ব্যবহার করছে। যার কারনে অজানা অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক পরিবারের সদস্য অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। হয়তো এক সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে। পরিবারে নেমে আসছে অশান্তি আর অভাব। তার কর্মস্থল থেকে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা সম্ভব তিনি তার বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা বলেন, ভেজাল খাবার বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ উভয় মানব শরীরের জন্য ক্ষতির কারন। চিকিৎসকদের মতে অল্প অল্প করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। নিজের সচেতনার মাধ্যমে জীবন জীবিকা করতে হবে। প্রত্যেক সচেতন নাগরীকদের উচিত কোথাও অনিয়ম বা ভেজাল খাবার, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও প্রসাধনী সন্ধান থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করা। এক সময় অসাদু ব্যবসায়ীরা তাদের অনিয়ম গুলো থেকে বিরত থাকবে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You