মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ২১ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মূলত হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই বুধবার লেবাননে ২১ দিনের ‘যুদ্ধবিরতির’ জন্য একটি যৌথ বিবৃতি দেয় এসব দেশ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন এবং ইসরায়েলের মধ্যেকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল যা বৃহত্তর আঞ্চলিক ঝুঁকি বৃদ্ধি কারণ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউসহ মিত্ররা লেবাননে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই বৃদ্ধির পরেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১২ দেশের একটি ব্লক ২১ দিনের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এই সময়ে তারা সংকটের কূটনৈতিক মীমাংসা করতে চায়, সেই সাথে গাজাতেও যুদ্ধবিরতির কথা ভাবছে তারা।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বৈরিতা অসহিষ্ণুতার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বাড়ছে।
ইসরায়েলের সামরিক প্রধান বুধবার সেনাদের বলেছেন, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা তাদের শত্রুদের ভূখণ্ডে প্রবেশের পথ তৈরি করেছিল। ফলে লেবাননে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ আসন্ন বলেই মনে করছেন অনেকে।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং কাতার। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতাদের বৈঠকের পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজব মিকাতি বলেছেন যে তার দেশ ইসরায়েলি শত্রুদের নৃশংস আচরণের কারণে সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘনের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে তিনি আশা করছেন, একটি যথাযথ সমাধান পেয়ে তিনি জাতিসংঘের অধিবেশন ছেড়ে যেতে পারবেন।
তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথাও বলেছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার কাছে জানতে চেয়েছিল যে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি হতে পারে কি না, উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আশা করি, হ্যাঁ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, এটি একটি মীমাংসার সময় এসেছে। যাতে বেসামরিক নাগরিকরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারা বলেছেন, “তাই আমরা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে কূটনীতিকে সফল করার এবং সীমান্ত জুড়ে আরও উত্তেজনা এড়াতে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি যৌথ আহ্বানে একসাথে কাজ করেছি।”