কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কঠোর আইনের প্রয়োগ করা, দখল, দূষণের জন্য দায়ী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্টানকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করাসহ কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে নিয়মিত ক্যাপিটাল ড্রেজিং চালু রাখার দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব নদী দিবস-২০২৪। কর্ণফুলী নদীসহ দেশের প্রতিটি নদী,খাল ও জলাশয় রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ সেই সাথে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক নদী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে ‘বিশ্ব নদী দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্নাঢ্য র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
নদী গবেষক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, কর্ণফুলী নদী শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতের অংশ হিসেবে কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। নদী রক্ষা ও দূষণমুক্ত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শামসুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা ও দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে হবে। এলক্ষ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করা এবং এসব কার্যক্রমে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। নদীকে দূষণমুক্ত করতে গণমুখী ও জনসম্পৃক্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সময়ের দাবী।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
নদী দূষনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় থাকা পলিথিন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক কামাল পারভেজের সভাপতিত্বে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কর্মী এম এ হাসেম রাজু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ও পরিবেশকর্মী হাসান মারুফ রুমী, ডাঃ কামরুল হাসান, আয়োজক প্রতিষ্ঠান পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিক মুজিবুল্ল্যা তুষার, সাংবাদিক সুজীত শাহা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মো. মনজুরুল ইসলাম, মো.জানে আলম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ক্যাব, এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে নদীপ্রেমীদের একটি র্যালি প্রদর্শন করা হয়।