ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে সিট বিতর্কের জেরে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাইসা আমিন লস্কর নামের এক ছাত্রী। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফেসবুক পোস্টে সিঙ্গেল সিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইবিয়ান পরিবার’ ফেসবুক গ্রুপে শেখ হাসিনা হলের সিট ব্যবস্থা নিয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুখসানা খাতুন ইতি একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে তিনি সিঙ্গেল সিট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী একজনকে ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাইসা পোস্টটি দেখার পর রুকসানা ইতির কাছে গিয়ে পোস্ট ডিলিট করানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় কথাকাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে রাইসা কান্নাকাটি করতে করতে জ্ঞান হারান।
অভিযুক্ত রুকসানা আক্তার ইতি এ বিষয়ে বলেন, “পোস্ট করার আধাঘণ্টার মধ্যেই রাইসা আমার রুমে আসে এবং প্রথম থেকেই বিভিন্নভাবে আমাকে শাসানোর চেষ্টা করে। রাইসার অনুরোধ পাওয়ার সাথে সাথে আমি ফেসবুক থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দিই। তারপরও সে বিভিন্নভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করে, কান্নাকাটি করে এবং আমাকে ভিক্টিম বানিয়ে ফেলে। আমি কখনো প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করিনি, আর করবও না। আমি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ক্যাম্পাসে আর মাত্র চার মাস আছি। এই সময়ের মধ্যে আমি ন্যায়বিচারকে সমর্থন করেই চলব। হলের সব মেয়েরাও আমাকে সমর্থন করবে বলে আমি আশাবাদী।”
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
ভুক্তভোগী রাইসা আমিন লস্কর বলেন, “ইতি আপু আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ঘুম থেকে উঠে পোস্টটি দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি এবং আপুর কাছে গিয়ে সেটি ডিলিট করতে অনুরোধ করি। কিন্তু আপু আমাকে অনেক মানসিক নির্যাতনমূলক কথা শুনিয়েছেন এবং মেন্টালি টর্চার করেছেন। আমি কখনো আপুর সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি। পুরো কথোপকথন আমি রেকর্ড করেছি। এছাড়া তিনি আমার বাবাকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। শুধু ইতি আপু নয়, তার কয়েকজন বান্ধবীও আমাকে হেনস্থা করেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমোতাবেক আজকের ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার চাই।”