মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বিভিন্ন ঘের এবং পুকুরের মাছ

মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বিভিন্ন ঘের এবং পুকুরের মাছ
এক সময় দেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলায় মেঘনা নদীতে সারা বছরই জেলেদের জালে কমবেশি ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দেখা মিলতো, যা দিয়ে তারা ভালো ভাবেই সংসার চালাতেন। তবে চলতি মৌসুমে তাদের জালে কাঙ্গিত মাছের দেখা না মেলায় জেলেদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েক দিন ধরে ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুই, কাতাল, মৃগেল মাছসহ‌ বিভিন্ন প্রজাতির পুকুরের মাছ।
এতে করে দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে মাছ ঘাটগুলো জেলে আর আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। একটু পর পর জেলেরা নদী থেকে মাছ শিকার করে আড়তে নিয়ে আসছেন। আর নৌকা বোঝাই সেই মাছ বিক্রি করে জেলেরা ফের মাছ ধরতে ছুটছেন নদীতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার আর আড়তদারের উপস্থিতিতে সরগরম জেলার অধিকাংশ মাছঘাট। দামে সস্তা হওয়ায় জেলেরা এসব মাছ বিক্রি করে খুব একটা লাভবান না হলেও খুশি ক্রেতারা।
জেলে ও আড়তদারা বলছেন, নদীতে ইলিশ কম। তবে বানের পানিতে আসা দেশীয় প্রজাতির রুই কাতলা সহ অন্যান্য মাছে এখন ইলিশের আড়ত চাঙ্গা। তারা বলছেন গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে পানিতে ভেসে গেছে মানুষের পুকুর, মাছের ঘের, খাল বিল ও জলাশয়। এর ফলে চাষের এসব মাছ খাল বিল হয়ে জোয়ারের পানিতে চলে এসেছে মেঘনায়। আর সেই মাছ মেঘনা নদীতে এসে ধরা পড়েছে জেলেদের জালে।

সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/

এবিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, দেশের পূর্ব-উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার মাছ চাষের ক্ষেত্র বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বন্যার পানিতে চাষের মাছগুলো ভেসে নদীতে এসেছে। তিনি বলেন, উজানের পানি মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হওয়ায় মেঘনায় রুই কাতলাসহ অন্যান্য চাষের মাছের আধিক্য দেখা দিয়েছে। এতে করে জেলেরা জালে প্রচুর চাষের মাছ পাচ্ছেন। তবে বদ্ধ জলাশয়ে বেড়ে উঠা মাছের কারণে মেঘনার ইলিশসহ অন্যান্য যে মাছে রয়েছে তাদের খাদ্য ও চলাচলের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না। এমনকি পুকুরে বেড়ে উঠা এসব মাছ কোন ভাবেই সমুদ্রে যাবেনা তা নদীতেই বসবাস করবে। এবং পর্যায়ক্রমে জেলেদের জালে ধরা পড়বে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You