পদত্যাগ করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ‘সৌজন্য বিনিময়’ অনুষ্ঠানে সিইসি এই ঘোষণা দেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান। সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এদিকে, আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভকারীরা সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে গেলে নব্বই দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের আয়োজন না করলে ইসিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।
যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে এবং নির্বাচনের কোনো রূপরেখা নেই, সংবিধানও কার্যত অঘোষিতভাবে স্থগিত হয়ে পড়েছে তাই কমিশন পদত্যাগ করলো বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন https://worldglobal24.com/latest/
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিসহ তার কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করার জন্য মনস্থির করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্রগুলো ইসি সচিবালয়ের সচিবের কাছে তারা জমা দিয়েছেন। নিজের বক্তব্য পড়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিইসি।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া, ইসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।